স্টাফ রিপোর্টারঃ যশোরের বাঘারপাড়া সিদ্দিকীয়া ফাযিল মাদরাসার অফিস সহকারি পদ শূন্য হলেও চেয়ার নিয়ে হয়ে বসে আছেন অবসরে যাওয়া অফিস সহকারি লিয়াকত আলী। একারনে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চাকুরি বিধির ১১.৬ ধারা লংঘিত হয়ে বছরের পর বছর মাদরাসা থেকে নিচ্ছেন মোটা অংকের টাকা।

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর চাকুরি বিধিতে উল্লেখ রয়েছে, অবসর যাওয়ার পর কোন অবস্থাতেই পুনঃনিয়োগ কিংবা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া যাবে না। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে এলাকাবাসী সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৮ সালে অফিস সহকারি লিয়াকত আলী সরকারি বিধি মোতাবেক অবসর গ্রহন করেন। কিন্তু অদ্যবধি ম্যানিজিং কমিটির সাথে অবৈধ টাকার বিনিময়ে প্রতিষ্ঠান থেকে নয় হাজার টাকা উত্তোলন করছেন। সে কারনে মাদরাসার তহবিল থেকে অতিরিক্ত টাকা ব্যয় হচ্ছে।

এছাড়া মাদরাসাটিতে দাখিল আলিম ও ফাযিল পরীক্ষা কেন্দ্র রয়েছে পাবলিক পরীক্ষার আয় ব্যয় ও (অফিস সহকারি) হাত দিয়েই হচ্ছে। অভিযোগে আরো বলা হয়েছে, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সর্বশেষ নীতিমালা অনুযায়ি কর্মচারীদের বয়স ৬০ বছর পূর্ণ হবার পর কোন প্রতিষ্ঠান পুন নিয়োগ কিংবা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিতে পারবে না। কিন্তু সে সব নীতিমালা মাসরাসা পরিচালনা পরিষদ লংঘন করে চলছে।
অভিযোগের বিষয়ে অফিস সহকারি লিয়াকত আলী জানান,” কমিটি নিয়োগ দিয়েছে, আমি কাজ করছি। এ ব্যাপারে আমার কোন দায়বদ্ধতা নেই।”

মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল মতিন জানান, পুর্বের অধ্যক্ষ সাহেবের আমলে এ নিয়োগ সংগঠিত হয়েছে। এছাড়া তিনি আরও বলেন, কমিটির পরবর্তী সভায় তিনি বিষয়টি উত্থাপন করবেন।
প্রতিষ্ঠানের সভাপতি যশোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন জানান, ” এ বিষয়ে আমার কোন বক্তব্য নাই। যে কমিটি নিয়োগ দিয়েছে আপনি তাদের সংগে যোগাযোগ করতে পারেন। তারাই এ বিষয়ে ভাল বলতে পারবেন।”